লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হারুনুর রশিদ হারুন (৩২) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মাইচ্ছাখালী ব্রিজ এলাকার শ্বশুরবাড়ি পাশের বাগান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হারুনের শ্বশুর মনসুর আহমেদ ও ভায়রা ভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার বাবা আবদুল মান্নান, মা কোহিনুর বেগম, ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জ্যোৎস্না বেগম।
নিহত হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় কসাই (মাংস ব্যবসায়ী)।
হারুনের পরিবারের লোকজন জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনসুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কিছু দিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। বৈশাখীও নিয়মিত ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলত। এ নিয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এসব কারণে কয়েক দিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়। সোমবার রাতে হারুনকে বৈশাখীর বোনজামাই শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে হারুনের পরিবার।
হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে হারুন নিজেই বরইগাছের সঙ্গে আঘাত করে কপালে জখম করে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।